দেশের পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়ন সাধন। বন্যা, খরা, জলবদ্ধতা, আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহ লবনাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিরুপ প্রভাব মোবাবেলা ও প্রাকৃতিক পরিবেশের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মধ্যমে কৃষি, মৎস্য , বন ইত্যাদি ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন সাধন করা। আর্থিক সক্ষমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার, লিঙ্গ সমতা এবং পরিবেশ সচেনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের মানুষের জ্ঞান ও সামর্থ্য বৃদ্ধি করা, যাতে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা নিজেরাই সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে পানি সম্পদের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা করতে পারে।
লক্ষ্যঃ
জাতীয় পানি নীতি অনুসারে বাপাউবো’র লক্ষ্য সমুহ হচ্ছে ;
- দরিদ্র বিমোচন
- খাদ্য নিরাপত্ত নিশ্চিত করা
- অর্থনৈতিক সামর্থ অর্জন
- জীবন মান উন্নয়ন
- প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা
বাপাউবো আইন ২০০০ অনুসারে বাপাউবো’র সার্বিক কার্যবলী পরিচালিত হয়। জাতীয় পানি নীতি-২০১৩ ও জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা-২০০৪ এর আলোকে এবং অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে বোর্ড নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রনয়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহন করে। বাপাউবো’র সঠিক কার্যাবলী প্রধানত দুই প্রকার, যথা কাঠামোগত (Structural) এবং অ-কাঠামোগত (non- structural)ও সহায়ক কার্যবলী, যা নিম্নরুপঃ
কাঠামোগত কার্য্যবলীঃ
(ক) নদী ও নদী অববাহিকা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন, সেচ ও খরা প্রতিরোধের লক্ষ্যে জলাধার, ব্যারেজ, বাঁধ রেগুলেটর বা অন্য যে কোন অবকাঠামো নির্মাণ ;
(খ) সেচ, মৎস্য খামার, নৌ-পরিবহন, বনায়ন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পানি প্রবাহের উন্নয়ন কিংবা পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তনের জন্য জলপথ, খালবিল ইত্যাদি পূনঃখনন ;
(গ) ভুমি সংরক্ষণ, ভুমি পরিবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধার এবং নদীর মোহনা নিয়ন্ত্রণ ;
(ঘ) তীর সংরক্ষণ ও নদী ভাঙ্গন হতে সম্ভ্যাব্য ক্ষেত্রে শহর. বাজার, হাট এবং ঐতিহাসিক ও জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ন স্থানসমুগ সংরক্ষণ ;